সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচনে ভোটারদের মধ্য নির্বাচন নিয়ে তেমন কোন আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। ভোটারদের মধ্যে নিরবতা বিরাজ করছে। নির্বাচনের আর মাত্র এক দিন বাকী অথচ নেই নির্বাচনী উত্তাপ। আগে স্হানীয় নির্বাচন গুলোতে ভোটারদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করতো অথচ এখন দেখা যায় ভোটারদের মধ্যে হতাশার চিত্র।
স্হানীয় ৬ নং জগন্নাথপুর ওয়ার্ডের ভোটার ইব্রাহিম মিয়াকে কাকে ভোট দিবেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, গত নির্বাচনে ভোট দিতে গেলে ভোট কর্মকর্তারা আমাকে বলেন আমার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। আমার দেওয়া লাগবে না। তো এবার ভোট কেন্দ্রে গিয়ে কি ভোট দিতে পারবো?
একিই ওয়ার্ডের বয়োবৃদ্ধ মহিলা ভোটারজয়বান বিবি বলেন, গত নির্বাচনে আমি ভোট দিতে যাই ইভিএম মেশিনে ৭/ ৮ বার চেষ্টা করেও ভোট দিতে পারিনাই । পরে ভোট কর্মকর্তারা বলেন আমার আঙুলের চাপ নাকি ইভিএমের মেশিন নিচ্ছে না আমার ভোট তারা দিয়ে আমাকে বাড়ীতে চলে যেতে বলেন। তাহলে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে কি লাভ? অনেক ভোটারই এ ধরনের নানা বিরুপ মন্তব্য করেন। অন্যদিকে বিরুধি দল বিএনপির কোন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহন না করায় নির্বাচন এক দলীয় নির্বাচনে পরিনত হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুহুরায়রা ছাদ মাস্টার বলেন, অবৈধ হাসিনা সরকারের অধীনে বিএনপি কোন নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবে না। আমাদের নেতা কর্মীরা ও সমর্থক গন ও ভোট কেন্দ্রে যাবেনা। আমরা জনসাধারণ কে এই ভোট ডাকাত সরকারের অধীনে সকল নির্বাচনে অংশ গ্রহন থেকে জনগনকে বিরত থাকার উদাত্ত আহবান জানাই।
এ দিকে সাধারন ভোটাররা নিরব থাকলেও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ ও দলের নেতাকর্মীরা ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা রয়েছেন সরব। তারা প্রতি দিনই তাদের প্রার্থী দের নিয়ে গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। অন্যান্য প্রার্থী গনও তাদের মত গনসংযোগ করছেন।
নির্বাচনে বিএনপির কোন প্রার্থী না থাকায় আওয়ামীলীগ প্রার্থী নূরুল ইসলামের সাথে লড়াই হবে আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী প্রার্থী হারুন রশীদের। তবে শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলম প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চলে আসতে পারেন।
গত কয়েক দিন আগে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুস সামাদ আজাদ ডন ওই প্রার্থীর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে নির্বাচন থেকে বিরত খাকার অনুরোধ করলেও কোন কাজ হয়নি।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক পররাষ্টমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদের পুত্র আজিজুস সামাদ আজাদ ডন মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি
হারুন রাশীদের গ্রামের বাড়ি উপজেলার চিলাউড়া গ্রামে গিয়ে উপ নির্বাচন থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন এসময় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নুরুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হারুন রশিদ জানান, ভোটারদের চাপে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ।
উল্লেখ্য, , আগামি ২৫ মে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ প্রার্থী। আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী নূরুল ইসলাম,(নৌকা) বিদ্রোহী আলীগ প্রার্থী হারুন রশীদ (আনারস), জাপার আলতাব হোসেন (লাঙল) জমিয়তের আব্দুল কাইয়ূম (খেজুর গাছ) স্বতন্ত্র সৈয়দ তালহা আলম (কাপপিরিচ)
গত বছরের ২ নভেম্বর জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আকমল হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২৭ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করলে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক চেয়ারম্যান পদ শুন্য ঘোষনা করে তফসিল ঘোষনা করা হয়।সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন জানান,২৫ মে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহন হবে।
Leave a Reply